ডালিম ফল হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। ডালিমকে স্বর্গীয় ফলও বলা হয়। কারণ এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধের জাদুকরী গুণাগুণ। ডালিম বা বেদানা ফল মোটামুটি সারা বছর পাওয়া যায়। ডালিম ফল আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসায় পথ্য হিসেবে ব্যবহূত হয়। ডালিমে বিউটেলিক এসিড, আরসোলিক এসিড এবং কিছু অ্যালকালীয় দ্রব্য। যেমন সিডোপেরেটাইরিন, পেপরেটাইরিন, আইসোপেরেটাইরিন, মিথাইলপেরেটাইরিন প্রভৃতি মূল উপাদান থাকায় এটা বিভিন্ন রোগ উপশমে ব্যবহূত হয়। এ ফল কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।
গাছের শিকড়, ছাল ও ফলের খোসা দিয়ে আমাশয় ও উদরাময় রোগের ওষুধ তৈরি হয়। এটা ত্রিদোষ বিকারের উপশামক, শুক্রবর্ধক, দাহ-জ্বর পিপাসানাশক, মেধা ও বলকারক, অরুচিনাশক ও তৃপ্তিদায়ক। ডালিমের ফুল রক্তস্রাবনাশক। বেদানায় উপস্থিত থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে, যা আমাদের শরীরে রক্তের মধ্যে মোনোসাইট কেমোট্যাকটিক প্রোটিন ক্ষতিকর পদার্থ কমিয়ে ফেলে। বেদানা বা ডালিম পোমেগ্রানেট অয়েল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ভালো কাজ করে ও ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকে প্রতিরোধ করে থাকে।
ফলিক এসিড, ভিটামিন-সি, সাইট্রিক এসিড, ট্যানিন সমৃদ্ধ বেদানা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ উপকারী। রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য বেদানাতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। হাড়ের সংযোগস্থলে কার্টিলেজ নামে অস্থি রস থাকে, যা হাড়ের ক্ষতি করে। বেদানার রসে আছে পটাশিয়াম ও পলিফেনল; যা কি-না কার্টিলেজ নামক রোগ রোধ করার জন্য খুবই উপকারী। উপস্থিত রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা কি-না দাঁতে প্লাক জমতে বাধা দেয়। জিন জিভাইটিস নামে মাড়ির রোগ-প্রতিরোধ করতে বেদানার ভূমিকা অপরিসীম। দাঁত ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন অল্প হলেও বেদানা খাওয়া উচিত।
কিদরকার.কম দিচ্ছে তরতাজা ফ্রেস ডালিম (আনার বেদানা) বিস্তারিত জানতে তাদের ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন kidarkar.com